মাহমুদুর রহমানের সাত দফা দাবি: ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার ৬ই অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
মাহমুদুর রহমানের সাত দফা দাবি: ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম

আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবি উত্থাপন করেন।


মাহমুদুর রহমান বলেন, "গত ১৬ বছরে দেশের যত সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটেছে, তার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগই দায়ী। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।" তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যদি সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আমি সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামব।"


মাহমুদুর রহমানের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রথম দাবি হলো, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। তৃতীয়ত, যমুনা সেতুকে শহীদ আবু সাঈদ সেতু নামে নামকরণের দাবি উত্থাপন করেন।


চতুর্থ দাবি হিসেবে মাহমুদুর রহমান বলেন, "২০০৯ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে হওয়া সমস্ত চুক্তির ধারা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।" এই চুক্তি পুনর্বিবেচনার জন্য দেশপ্রেমিকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করারও আহ্বান জানান তিনি।


পঞ্চমত, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবরার অ্যাভিনিউ করতে হবে। মাহমুদুর রহমান বলেন, "শহীদ আবরার ছিলেন ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে।"


মাহমুদুর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচারী নেতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "শেখ মুজিব ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইডল।"


ষষ্ঠ দাবি হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নমিনেশন প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, "এই নমিনেশন জালিয়াতির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।"


সপ্তমত, বুয়েটের ছাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রহিম ও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর মৃত্যু নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। তিনি বলেন, "দুজনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।"


মাহমুদুর রহমানের এই দাবিগুলো বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার একটি প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তিনি জনসাধারণের সমর্থন চান।