বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ভোলা জেলায় নতুন ১৯টি গ্যাস কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আরও ৫ দশমিক ১৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত নিশ্চিত করা হবে। সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত বাপেক্স ডিজিএম ও গবেষক মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে ৬টি এবং জেলা সদরের ইলিশা এলাকা থেকে ৩টি কূপ খনন করে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন গ্যাসের মজুত নিশ্চিত করা হয়েছিল। নতুন কূপগুলোর মধ্যে ৫টি জেলা সদর এবং ১৪টি বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন এলাকায় খনন করা হবে। বাপেক্স এবং রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি ‘গ্যাজপ্রম’ যৌথভাবে থ্রি-ডি ও টু-ডি অনুসন্ধান শেষে কূপ খননের স্থান চিহ্নিত করেছে।
নতুন কূপের অবস্থানগুলো হল— জেলা সদরের জাঙ্গালিয়া বাজার সংলগ্ন ভোলা নর্থ-৩, গুপ্তমুন্সি গ্রামে ভোলা নর্থ-৪, রতনপুর ও চরপাতা সীমানায় ভোলা-৫, এবং শাহবাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় অন্যান্য কূপ। বাপেক্স কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী কূপগুলোর মজুত নিশ্চিত হওয়ার পর নতুন কূপ খনন করা হলে দেশের বৃহত্তর গ্যাস মজুত নিশ্চিত হবে।
শাহবাজপুর এবং ইলিশা ফিল্ডে গ্যাসের মজুত রয়েছে ২ দশমিক ৪২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট, আর জেলার দক্ষিণাঞ্চলে ২ দশমিক ৬৮৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এই গ্যাসের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হতে পারে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ভোলায় ১৯টি কূপ খনন করা হবে।
এদিকে, ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সরকার পরিকল্পনা করছে। ভোলা-বরিশাল ব্রিজের মাধ্যমে গ্যাসলাইন খুলনায় নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে নাগরিক সমাজ বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্যাস ব্যবহারে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট ও সার কারখানা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে।
ভোলায় গ্যাস মজুত ভান্ডার রয়েছে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।