পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এবার ভেসে এসেছে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি জীবিত কগিয়া সিমা প্রজাতির পুরুষ (ড্রফ স্পার্ম হোয়েল) তিমি। আহত তিমি শাররিকভাবে দূর্বল থাকায় উদ্ধারের ২ ঘন্টা পর মারা যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সৈকতের আন্ধার মানিক নদীর মোহনায় নতুন প্রজাতির এই তিমিটিকে জীবিত অবস্থায় পানির মধ্যে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে ডলফিন কমিটির সদস্যসহ বন বিভাগের সদস্যদের খবর দেয় তারা। বন বিভাগের সদস্যরা মৃত তিমিটিকে মাটি চাপা দেয়।
তিমিটির কানের নিচে এবং লেজের নিচে সহ বেশ কিছু স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এটি জালে পেচানো ছিলো। জীবিত অবস্থায় ভেসে আসে।
ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু বলেন,তিমিটি সকালে কুয়াকাটা সৈকতের লেবুর চর এলাকার আন্ধার মানিক নদীর মোহনায় জীবিত অবস্থায় অগভীর পানির মধ্যে ছটফট করতে দেখা যায়। পরে এটা তীরবর্তী এলাকায় চলে আসলে বার বার পানিতে নামিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু ২ঘন্টা ছটফট করে তিমিটি মারা যায়।
পটুয়াখালী জেলা ইউএস-এইড (ইকো-ফিস ২) ওয়ার্ড ফিস বাংলাদেশ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, এটি একটি নতুন প্রজাতির কগিয়া সিমা ( ড্রফ স্পার্ম হোয়েল) তিমি। এটি হল একটি শুক্রাণু তিমি যা বিশ্বব্যাপী নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় মহাসাগরে বাস করে, বিশেষ করে মহাদেশীয় তাক এবং ঢালে। তিনি আরও জানান, শরীরের পেটের নিচেও একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, সেখান থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে দশটার দিকে এটি মারা যায়।
সাগরিকা স্মৃতি বলেন, তিমিটির শরীরের কিছু অংশের নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছি। পরবর্তীতে মৎস্য বিভাগ, ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের নির্দেশক্রমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে চলে আসি। এটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানোর জন্য।
উল্লেখ্য চলতি বছর ১২টি মৃত ডলফিন এবং ১০টি কচ্ছপ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।