ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক জনসভায় কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি টাকা চাঁদা ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান হাওলাদার। ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল ৫টায় উপজেলা প্রশাসন বালুর মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মুফতি হাবিবুর রহমান বলেন, “গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা খেয়াঘাট, বাস স্ট্যান্ড, মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে ১৪ কোটি টাকা ঘুষ ও চাঁদাবাজি করেছেন। বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হুমায়ুন সিকদারের কথায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করেছেন। উপজেলা প্রশাসন বিএনপির নেতাদের কথায় উঠেবসে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এমনটা হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা প্রশাসন অফিস ঘেরাও করবে।”
এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা রাস্তা-ঘাট ও চায়ের দোকানে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং বর্তমানে এলাকা থমথমে বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হুমায়ুন সিকদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেন। তিনি বলেন, “১৪ কোটি টাকা চাঁদা বা লুটপাটের ঘটনা সত্য নয়। কারণ কলাপাড়া উপজেলায় ১৪ কোটি টাকা আদায়ের মতো কোনো সেক্টর নেই। মুফতি হাবিবুর রহমান মনগড়াভাবে বক্তব্য দিয়ে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
এ ঘটনাটি এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে, যা স্থানীয় প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্থানীয়দের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।