গৃহবধূকে মারধর ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৩০ অপরাহ্ন
গৃহবধূকে মারধর ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের সেলিম তালুকদারের ছেলে হৃদয় ওরফে বাহাদুর তালুকদারের উপর তার আপন ছোট ভাই রাজু তালুকদারের স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও যৌতুক ও মারধরের অভিযোগে শ্বশুরের ঝালকাঠি আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।


ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হৃদয় ওরফে বাহাদুর (২৮), মোঃ সাগর তালুকদার (২২) উভয় পিতাঃ সেলিম তালুকদার, সেলিম তালুকদার (৫০) পিতা- মৃতঃ নাদেম তালুকদার, মোসাঃ শারমিন সুলতানা (২৫) স্বামীঃ মোঃ হৃদয় তালুকদার ওরফে বাহাদুর নামে ঝালকাঠির আদালতে মামলা করেন। বাহাদুর রাজাপুরের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে গালুয়া কৈবর্তখালী (জি.কে.) মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্মরত আছেন। 


মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০২৩ সনের ২৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের সেলিম তালুকদারের ছেলে সুমন ওরফে রাজু তালুকদারের সাথে বিবাহ হয় ভুক্তভোগীর। বিবাহের কিছুদিন পর রাজু মালায়েশিয়া চলে যায়। রাজু বিদেশ যাবার পর বাহাদুর ভুক্তভোগীর উপর কু-নজর দেয় এবং বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যাক্ত করে। ভুক্তভোগী রুমে একলা থাকার কারণে গভীর রাতে বিভিন্ন ভাবে বাহাদুর তার মনের কু-বাসনা চরিতার্থ করার পায়তারা করে। একদিন রাতে বাসার ছাদে এসে ভুক্তভোগীকে বাহাদুর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। মুখ চেপে ধরে ছাদে ফেলে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি ভুক্তভোগী তার মা এবং স্বামীকে জানান। অন্যদিকে রাজু বিদেশে যাবার পর থেকেই ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য ভুক্তভোগীর উপর চাপ দিতে থাকে সেলিম তালুকদার। 


এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী তার বাবার বাড়িতে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে সেলিম তালুকদার তার বাড়িতে ভুক্তভোগীকে নিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর রাতে ভুক্তভোগীর রুমের দরজা ভেঙ্গে রুমে ডুকে বাহাদুর, সেলিম, সাগর, শারমিন, দরজা ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে ভুক্তভোগী ফোন করে বিষয়টি তার স্বামী এবং মাকে জানান। রুমের ভিতর ঢুকেই তারা ভুক্তভোগীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর শুরু করে। ভুক্তভোগীর স্বামী রাজু বিষয়টি তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ যেয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। 


এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাহাদুর জানান, সেদিন রাতে আব্বা রাজুর স্ত্রীর রুমের দরজা খুলতে বলছে সে দরজা খুলেনি, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। তখন দরজা ভাঙ্গা হয়েছে। তার পরে পুলিশ আসছে এবং ওর মা বাবা এসে ওকে নিয়ে গেছে।


এ বিষয়ে সেলিম তালুকদার জানান, যে ঘটনার কথা তারা বলেছে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি, আমার পুত্রবধু ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, তখন আমরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেছি।