মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরি করতে গিয়ে মারা যান নাজমুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরি করতে গিয়ে মারা যান নাজমুল

রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গত শুক্রবার নাজমুল নামের এক তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে জানা গেল, মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে মালামাল চুরি করতে গিয়ে রাজধানীর তুরাগ এলাকায়  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গীরা লাশ সেখানে রেখেই পালিয়ে যান। আজ মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।


র‌্যাবের অধিনায়ক বলেন, ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ সাধারণত খোলা জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়। একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দল কৌশলে সেই মালামাল চুরি করে। নিহত নাজমুলও এই সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। চক্রটির আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।


এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত মালামালসহ একটি পিকআপ ও সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুলের মৃত্যু ও প্রকল্পের মালামাল চুরি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।


মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।


তিনি বলেন, মূলত এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন হয়েছে নিহত নাজমুলের পরিবারের একটি সাধারণ ডায়েরি থেকে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর নাজমুল তার মিরপুরের বাসা থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর জানা যায়, ডিএমপির তুরাগ থানা এলাকায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে মৃতদেহটি নাজমুলের বলে তার বাবা শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। এরপরই র‍্যাবের একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করেন।


র‌্যাব জানায়, নিহত নাজমুলের পরিবারের একটি সাধারণ ডায়েরি থেকে তারা জানতে পারে যে ১৬ সেপ্টেম্বর নাজমুল মিরপুরের বাসা থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। 


পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর তুরাগ থানা এলাকা থেকে নাজমুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ। নাজমুলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে র‌্যাবের একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করে।


র‌্যাব বলছে, এ চক্রটি বেশ কিছু দিন ধরে মেট্রোরেলের মালামালসহ অন্যান্য সরকারি কাজের মালামাল এবং বৈদ্যুতিক তার চুরির কাজ করে আসছিল। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন তাঁরা।