আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কোরআনকে বুকে ধারণ করে যেভাবে জীবন পরিচালনা করেছেন, তার জন্যই তিনি মানুষের মনে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। এমন মন্তব্য করেছেন তাঁর পুত্র শামীম সাঈদী। বুধবার জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি বলেন, “আল্লামা সাঈদী কোরআনকে বুঝে তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্ম কোরআনের আলোকে পরিচালিত হওয়ায় আল্লাহ তাকে সম্মান দিয়েছেন।”
শামীম সাঈদী আরো উল্লেখ করেন, “কোরআন বুঝে এবং মেনে চলার জন্য আল্লাহ মৃত্যুর পরেও মানুষের মনে তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান বৃদ্ধি করেছেন।” তিনি বলেন, “পিরোজপুরের মানুষসহ গোটা বাংলাদেশ কখনো আল্লামা সাঈদীকে ভুলে যায়নি। কারণ, তিনি ছিলেন কোরআনের পাখি।”
অনুষ্ঠানে শামীম সাঈদী অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনার সন্তানকে যদি কোরআন শিক্ষা দেন, তবে আপনারাও একইভাবে সম্মানিত হতে পারেন।” তিনি অভিভাবকদের ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের কোরআনের পাঠে শিক্ষিত করার আহ্বান জানান।
এদিকে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) মুকিত হাসান খান। তানযীমুল উলুম ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. মিম আতিকউল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। অতিথিদের মধ্যে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মাওলানা আব্দুর রব এবং তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসার বরিশাল শাখার অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা পিরোজপুর জেলা শাখায় ১৪৩ জন ছাত্র ও ১০০ জন ছাত্রী হিফজ ও জেনারেল বিভাগে পড়াশোনা করছে।
বার্তা প্রেরক: [আপনার নাম]
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।