কলাপাড়ায় প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব পালন করছে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই অক্টোবর ২০২৪ ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব পালন করছে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা

প্রতিবছরের মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও কুয়াকাটায় বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা এবারও পালন করছেন প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব। গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে এই ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন করা হয়।


বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় শুরু হয় পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রার্থনা এবং বুদ্ধপূজার মাধ্যমে। এরপর বৌদ্ধ ভিক্ষুকে বিভিন্ন ফল ও পিঠাপুলি প্রদান করেন ধর্মাবলম্বী বয়স্ক পুরুষ ও নারীরা। সন্ধ্যার সময় আকাশে উড়বে রংবেরঙের ফানুস।


প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাখাইন পাড়ায় চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হচ্ছে নানারকম পিঠাপুলি ও খাবার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এখানে এসে বৌদ্ধ বিহারে অংশগ্রহণ করেছেন। পাড়ায় পাড়ায় নানা বয়সের নারী ও পুরুষ নতুন পোশাক পরিধান করে উৎসবে যোগ দিয়েছেন।


কুয়াকাটার শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের উপাধাক্ষ্য ইন্দ্র বংশ ভান্তে জানান, “প্রবারণা উৎসবকে ঘিরে আমরা ২৮ বুদ্ধের আসন পরিষ্কার করে নতুন সাজে সজ্জিত করেছি। ১৭ অক্টোবর তেথে ৩১ কঠিন চীবর দান ও সন্ধ্যায় শতাধিক ফানুস উড়িয়ে ধর্মীয় আচারের মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।”


মিশ্রীপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মংলাচি তালুকদার বলেন, “এটি আমাদের প্রধান উৎসবগুলোর একটি। উৎসব উপলক্ষে সকলের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। জগতের সবার মঙ্গল কামনা করছি। আজ আলোর ঝলকানিতে ফানুস উড়ানো হবে।”


মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহারের উত্তম ভিক্ষু জানান, “আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর থেকে এই তিন মাস বর্ষাবাস পালন করে আসছে। এবারের উৎসবে চাই যে সকলেই ভালো থাকুক এবং কারো অমঙ্গল না হোক।” 


তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সমাজের অবস্থান অবনতি হচ্ছে। দিন দিন আমরা যেন কোনঠাসা হয়ে পড়ছি। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই।” 


প্রবারণা পূর্ণিমার এই উৎসব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক বিশেষ দিন, যা তারা ভক্তিভরে পালন করেন।