নওগাঁয় সাংবাদিককে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৬ অপরাহ্ন
নওগাঁয় সাংবাদিককে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

 নওগাঁ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম। তিনি অনলাইন পোর্টাল বার্তা২৪ ডটকম-এর জেলা প্রতিনিধি। বুধবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। হামলার পর শহিদুলকে তিন ঘণ্টা আটক রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়, পরে পুলিশ ও তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।


স্থানীয়দের মতে, নব মুসলিম অমিত হাসান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালাচ্ছেন। শহিদুল ইসলাম এবং তার সহকর্মী একেএম জাহিদুল হক মিন্টু এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলতে যান। সেখানে তারা হামলার শিকার হন। স্থানীয় যুবক ওয়াহেদুর রহমান রকি ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।


হামলার শিকার শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন রকি এবং তার সঙ্গীরা এসে হামলা চালায়। তারা আমাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।” তিনি জানান, তার সহকর্মী মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে আসায় তিনি নিরাপদ থাকেন।


ভুক্তভোগী নব মুসলিম মোছা: নূরে জান্নাত জানান, রকি ও তার সহযোগীরা তাদের পরিবারকে চাঁদা দিতে বাধ্য করছে। “মুসলিম হওয়ার পর থেকেই আমাদের ওপর নির্যাতন চলছে। তারা টাকা দাবি করছে এবং না দিলে মারধর করে,”—বলেছেন তিনি।


নওগাঁ সদর থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো: মেজবাহ বলেছেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করেছি। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে। বর্তমানে শহিদুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার এ ঘটনা স্থানীয় সমাজে ব্যাপক