বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫২ আশ্বিন, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

কুরবানির যে বিষয়গুলো জেনে নেয়া জরুরি

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০১৯, ১৬:৩৮

শেয়ার করুনঃ
কুরবানির যে বিষয়গুলো জেনে নেয়া জরুরি
ধর্ম
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

কুরআনের বর্ণনায় কুরবানি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত একটি মহান ইবাদত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসুল) আপনি বলুন, নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু শুধুমাত্র বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।’ কুরবানির গুরুত্ব জানতে বিশ্বনবির সে হাদিসটিই যথেষ্ট, তিনি বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করে না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।’ (মুসতাদরেকে হাকেম) কুরআন ও হাদিসের আলোকে কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর তা সামর্থ্যবানদের আদায় করা ওয়াজিব। যে ব্যক্তি কুরবানি আদায়ে সক্ষম থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করবে না, সে ওয়াজিব তরকে গোনাহগার হবে।

কুরবানির সময়

কুরবানি আদায় করার জন্য নির্ধারিত দিনক্ষণ ঠিক করা রয়েছে। মোট তিনদিন কুরবানি করা যায়। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানি করা যায়। তবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কুরবানি করাই উত্তম।

আরও

শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা

শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা

যাদের জন্য কুরবানি ওয়াজিব

জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত এ ৩ দিন যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তার জন্য কুরবানি করা ওয়াজিব। দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা বা ভরন-পোষণ, খোরাকীর প্রয়োজনে আসে না এমন অতিরিক্ত কিংবা পতিত জায়গা-জমি, বাড়ি-গাড়ি, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সম্পদ নিসাব হিসেবে গণ্য। আর তা যদি সাড়ে ৭ ভরি সোনা কিংবা সাড়ে ৫২ ভরি রূপার মূল্যের সমান হয় তবে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব। যদি এককভাবে সোনা-রূপা অথবা টাকা নিসাব পরিমাণ না থাকে কিংবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু, সোনা, রূপা ও টাকা একত্রিত করলে সাড়ে ৫২ ভরি রূপা কিংবা সাড়ে ৭ ভরি সোনার দামের সম পরিমাণ হয় তবে ওই ব্যক্তির জন্যও কুরবানি করা আবশ্যক।

যে সব পশুতে কুরবানি করা যাবে

যেসব পশু দিয়ে কুরবানি করা যাবে তাহলো- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। তবে এসব পশু হতে হবে গৃহপালিত। তবে হরিণ কিংবা বন্য পশু দ্বারা কুরবানি করা যাবে না।

আরও

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

পশুর বয়স

যেসব পশুতে কুরবানি করা যাবে, তার জন্য রয়েছে সর্বনিম্ন নির্ধারিত বয়স। আর তাহলো-

>> উট : ৫ বছরের হতে হবে।

>> গরু ও মহিষ : ২ বছরের হতে হবে।

>> ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা : কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে।

তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু দেখতে এমন সুস্বাস্থ্য ও সুঠাম দেখা যায় যে, ১ বছরের মতো মনে হয় তবে তা দ্বারাও কুরবানি করা যাবে। তা কোনোভাবেই ৬ মাসের কম হলে চলবে না। আর ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে তা দ্বারা কোনো অবস্থাতেই কুরবানি করা যাবে না।’

পশুতে অংশীদার

>> উট, গরু, মহিষ : সর্বোচ্চ ৭ মিলে একটি পশু কুরবানি দিতে পারবে। এর বেশি নয়। তবে নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য কুরবানির জন্য এককভাবে কুরবানি দেয়ার বিকল্প নেই।

>> ছাগল, ভেড়া ও দুম্বারে ক্ষেত্রে একাধিক ভাগে কুরবানি দিলে হবে না। তা এককভাবে আদায় করতে হবে।

যে পশুতে কুরবানি নয়

গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কুরবানি করতে হয়। আর তা দেখতে সুন্দর, সুস্থ ও সুঠাম দেহের অধিকারী হলে আরো উত্তম। তবে যে পশু দিয়ে কুরবানি বৈধ নয়। তাহলো-

- কুরবানির স্থানে হেটে যেতে পারবে না এমন পশু দিয়ে কুরবানি করা বৈধ নয়।

-কোনো পশুর যদি দাঁত না থাকার কারণে খাবার গ্রহণ করতে না পারে তবে তা দ্বারাও কুরবানি বৈধ নয়।

- গোড়া থেকে ভাঙা শিং-এর গরু যদি মস্তিষ্কে আঘাত পায় তবে তা দ্বারাও কুরবানি বৈধ হবে না।

- কুরবানির পশুর কান বা লেজ যদি অর্ধেকের বেশি কাটা থাকে তা দিয়েও কুরবানি বৈধ নয়।

অসিয়তের কুরবানি

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif
কোনো ব্যক্তি যদি তার পক্ষ থেকে কুরবানির অসিয়ত করে আর টাকা পয়সা থাকে তবে তার কুরবানি আদায় করা ওয়াজিব। অসিয়তকারী যদি মৃতব্যক্তিও হয় তবে তার কুরবানি আদায় করাও আবশ্যক। তবে মৃতব্যক্তির অসিয়তের কুরবানির গোশত ওয়ারিশরা খেতে পারবে না। গরিব-অসহায়দের দান করে দিতে হবে। আর মৃতব্যক্তির অসিয়ত না থাকলে যদি ওয়ারিশ মৃতব্যক্তির নামে কুরবানি দেয় তবে তা নফল কুরবানি হিসেবে পরিগণিত হবে। আর তার গোশত নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনরাও খেতে পারবে।

অন্য ব্যক্তির কুরবানি

কোনো ব্যক্তির ওপর যদি কুরবানি ওয়াজিব হয়। কিন্তু কুরবানি দেয়ার কোনো অনুমতি না থাকে তবে ওই ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিত অন্য কেউ কুরবানি দিলে তা আদায় হবে না। অবশ্যই সে ব্যক্তির কুরবানি করতে হলে অনুমতি নিতে হবে।

আর যদি কোনো স্বামী বা পিতা তার স্ত্রী কিংবা সন্তানের অনুমতি না নিয়ে তাদের নামে কুরবানি দেয় তবে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে কুরবানি আদায় করা উত্তম।

কুরবানির হাড়, গোশত ও চর্বি বিক্রি

যে বা যারা কুরবানি আদায় করবে, তাদের জন্য এ কুরবানির পশুর হাড়, গোশত ও চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা বৈধ নয়। যদি কেউ নিজ কুরবানির গোশত বা চর্বি বিক্রি করে তবে এ অর্থ সাদকা করে দিতে হবে। তবে যদি কোনো টোকাই কিংবা অসহায় ব্যক্তি বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোশত, হাড় কিংবা চর্বি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে ওটা তাদের জন্য বৈধ। কুরবানিদাতার জন্য নয়।

কুরবানির পশুর গোশতে থেকে পারিশ্রমিক

কুরবানির পশু থেকে কোনো গোশত কর্মচারি কিংবা কাজের লোককে তাদের পরিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। গোশত, হাড় কিংবা চর্বি ও চামড়া কোনো কিছুই পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। তবে এসব লোকদেরকে কুরবানির গোশত খাওয়ানো যাবে।

নির্ধারিত দিনে কুরবানি করতে না পারলে

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কারণে ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো কারণে কুরবানির পশু সংগ্রহ করতে না পারে কিংবা কোনো কারণে পশু থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করতে না পারে তবে সে ব্যক্তি কুরবানির পশু না কিনে সে অর্থ গরিব-অসহায়দের সাদকা করে দেবে। আর যারা পশু ক্রয় করা সত্ত্বেও কুরবানি করতে পারেনি তারা ওই পশু জীবিত সাদকা করে দেবে।

মুসাফিরের জন্য কুরবানি

যে ব্যক্তি কুরবানির দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়। তবে কুরবানি থেকে বিরত থাকার নিয়তে কুরবানির সময় সফর করা বৈধ নয়।

গরিব-অসহায়দের কুরবানি

গরিব কিংবা অসহায় ব্যক্তির উপর কুরবানি করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানির নিয়তে কোনো পশু ক্রয় করে তবে তা কুরবানি করা ওয়াজিব।

কুরবানির দিন কখন কুরবানির সময়

অবশ্যই ঈদের নামাজের পর কুরবানি আদায় করা। যদি কেউ ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করে তবে তার কুরবানি পুনরায় আদায় করতে হবে।

কুরবানির উদ্দেশ্যে কেনা পশু দ্বারা উপকার গ্রহণ

কুরবানির উদ্দেশ্যে ক্রয় করা কোনো পশু থেকে উপকার নেয়া যাবে না। যেমন- দুধগ্রহণ করা, হাল-চাষ করা, পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা কিংবা পষম কাটা ইত্যাদি। যদি কেউ একান্তই উপকার গ্রহণ করে তবে সুবিধা গ্রহণ সমমূল্য সাদকা করে দিতে হবে।

ঋণ করে কুরবানি

কুরবানি ওয়াজিব এমন ব্যক্তিও ঋণ করে কুরবানি দিলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানি করা যাবে না। কুরবানি আদায়ের ক্ষেত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলা সবার জন্যই জরুরি। আর তা মেনে চললে কারো কুরবানিই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়ম-কানুন মেনে কুরবানি আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের সোনার বাজারে নতুন রেকর্ড দাম, ভরিতে বাড়ল কত

দেশের সোনার বাজারে নতুন রেকর্ড দাম, ভরিতে বাড়ল কত

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলার

মৌলভীবাজারে চা-বাগানে নতুন সম্ভাবনা: গোলমরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে

মৌলভীবাজারে চা-বাগানে নতুন সম্ভাবনা: গোলমরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে

দেবীদ্বারে নিরাপত্তাহীন পুকুরে ঝরে গেল দুটি ফুটফুটে প্রাণ

দেবীদ্বারে নিরাপত্তাহীন পুকুরে ঝরে গেল দুটি ফুটফুটে প্রাণ

টানা রদবদল–বরখাস্তে অস্থিরতা, চাপে এনবিআর কর্মকর্তা

টানা রদবদল–বরখাস্তে অস্থিরতা, চাপে এনবিআর কর্মকর্তা

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি শিবিরকে কয়েকঘন্টার শুভেচ্ছা পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর!

ঢাবি শিবিরকে কয়েকঘন্টার শুভেচ্ছা পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর!

আমি কোটি টাকার মালিক নই: আদালতকে সাবেক প্রধান বিচারপতি

আমি কোটি টাকার মালিক নই: আদালতকে সাবেক প্রধান বিচারপতি

আশাশুনি হাটে কৃষি ডাক্তারদের ফসল ক্লিনিকের নতুন উদ্ভাবন

আশাশুনি হাটে কৃষি ডাক্তারদের ফসল ক্লিনিকের নতুন উদ্ভাবন

২৪ ঘন্টা না যেতেই নেপালের বিপ্লব ছিনতাই, দাবি জেন-জি'র

২৪ ঘন্টা না যেতেই নেপালের বিপ্লব ছিনতাই, দাবি জেন-জি'র

পদ্মায় জেলের জালে ১৯ কেজির কাতল, ৪৪ হাজারে বিক্রি

পদ্মায় জেলের জালে ১৯ কেজির কাতল, ৪৪ হাজারে বিক্রি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শিক্ষা

সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শিক্ষা

বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এ প্রেক্ষাপটে ইসলামের নির্দেশনাগুলো আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ইসলাম কেবল ইবাদতের ধর্ম নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যা ন্যায় ও সাম্যের ভিত্তিতে সমাজ গঠনের শিক্ষা দেয়। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সূরা নিসা’র ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আদেশ দেন যে তোমরা

সততার মূল্য ও ইসলামের দিকনির্দেশনা

সততার মূল্য ও ইসলামের দিকনির্দেশনা

সততা ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একজন মুসলমানের জীবনে সততা শুধু একটি নৈতিক গুণ নয়, বরং এটি আল্লাহর নির্দেশিত একটি বাধ্যতামূলক আদর্শ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বহু জায়গায় মুমিনদের সত্যবাদী ও সৎ হতে বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে সততার অনন্য উদাহরণ রেখে গেছেন যা আজও মুসলমানদের জন্য আদর্শ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সৎ আচরণ মানুষের ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

দুর্নীতি ও অনৈতিকতা মানবসমাজের শান্তি নষ্ট করে এবং মানুষের নৈতিক চরিত্রকে ধ্বংস করে দেয়। ইসলাম এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না এবং মানুষদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার জন্য বিচারকদের ঘুষ দিও না” (সুরা বাকারা: ১৮৮)। এই আয়াত সরাসরি দুর্নীতি ও ঘুষকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যিনি ঘুষ

পরিবারে ইসলামী আদর্শের শিক্ষা

পরিবারে ইসলামী আদর্শের শিক্ষা

পরিবার মানুষের জীবনের প্রথম বিদ্যালয়। এখানে একজন মানুষ নৈতিকতা, আচার-আচরণ ও মূল্যবোধ শিখে। ইসলাম পরিবারকে সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখেছে। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিবারকে আগুন থেকে বাঁচাও” (সুরা তাহরিম: ৬)। এই আয়াত প্রমাণ করে পরিবারের দায়িত্ব হলো সন্তানদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া। দাম্পত্য জীবনে ইসলামের মূল শিক্ষা হলো ভালোবাসা, সম্মান ও দায়িত্বশীলতা। কোরআনে বলা

 জুমার দিনে সাদকা ও দানের ফজিলত

জুমার দিনে সাদকা ও দানের ফজিলত

শুক্রবারের দিন মুসলমানদের জন্য ইবাদত, দোয়া ও রহমতের পাশাপাশি সাদকা ও দানের জন্যও বিশেষ মর্যাদার দিন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মুসলমানের প্রতিটি ভালো কাজই সদকা” (মুসলিম)। আর শুক্রবারের দিন দান করলে এর সওয়াব অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি হয়। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় সাহাবিরা জুমার দিনে বিশেষভাবে দান করতে পছন্দ করতেন। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি উত্তম কাজ করবে, তার জন্য দশগুণ প্রতিদান