প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১০:৬
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ইসলামী দাওয়াতের পদ্ধতিও পরিবর্তিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এখন ইসলামী শিক্ষা ও দাওয়াত প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে লক্ষ কোটি মানুষ প্রতিদিন ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও এক্স (সাবেক টুইটার)-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও দাঈ নতুন প্রজন্মের কাছে ইসলামী শিক্ষা, হাদীস ও কুরআনের ব্যাখ্যা তুলে ধরছেন সহজবোধ্য ভাষায়।
তরুণদের মাঝে ইসলামের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে শর্ট ভিডিও, কার্টুন, অ্যানিমেশন ও লাইভ আলোচনার মাধ্যমে অনেক আলেম সাধারণ মানুষকে দাওয়াতের আওতায় আনছেন। এতে ইসলামের প্রতি আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে সঠিক আকিদাহ ও আমলের প্রচার।
তবে এই সুযোগের পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ভুল তথ্য বা অপব্যাখ্যার ঝুঁকি অনলাইনে বেশি থাকায় দাঈদের উচিত যাচাই-বাছাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে কথা বলা। অনেক সময় অজ্ঞ আলেম বা ভুয়া স্কলারদের বক্তব্য ভাইরাল হয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে, যা ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দাওয়াত কার্যক্রমকে সফল করতে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। স্বশিক্ষিত ও আলেমদের একটি দল যদি অনলাইন কনটেন্ট, ভিডিও সিরিজ, প্রশ্নোত্তর সেশন ও গবেষণাভিত্তিক আলোচনায় সক্রিয় হয়, তবে তা ইসলামী দাওয়াতকে শক্ত ভিত্তি দিতে পারে।
ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যা যুগে যুগে মানুষকে সঠিক পথে চলতে শিক্ষা দেয়। সেই আলোকে দাওয়াতের মাধ্যমও যুগোপযোগী হওয়া উচিত। বর্তমান যুগের তরুণদের অন্তরে ইসলামের সৌন্দর্য ও নৈতিকতা পৌঁছে দিতে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
সর্বোপরি, প্রযুক্তির এই আশীর্বাদকে আল্লাহর বার্তা পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা সময়ের দাবি। যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটি সঠিক, মানবিক ও তাওহিদের আলোয় আলোকিত সমাজ পায়।