প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১১:২০
ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি কোনো বৈদেশিক ষড়যন্ত্র কিংবা ঘরোয়া চাপে পদত্যাগে বাধ্য হন, তবে ছাত্র-জনতা এবার একেবারে বিপ্লবী সরকার গঠন করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের সংগঠক মেহরাব সিফাত। শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজৈরের টেকেরহাট তালুকদার ডিজিটাল প্লাজায় এনসিপির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিফাত বলেন, চব্বিশের ছাত্র-জনতা ড. ইউনূসের উপর যে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে, তা পালনের প্রতিশ্রুতি তিনি ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। কিন্তু যদি ষড়যন্ত্র করে তাকে বাধ্য করা হয় পিছু হটতে, তবে এ ঘটনা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে এই ইতিহাসকেও ছাপিয়ে যাবে একটি নতুন ইতিহাস, যেটি গড়ে তুলবে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা।
তিনি বলেন, রাজপথে রক্ত দিয়ে যে ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ এখন ড. ইউনূসের কাছে অর্পিত। সেই আত্মত্যাগের সম্মান রক্ষা করতে হবে। যদি তিনি একটি নতুন সমাজব্যবস্থা, শিক্ষানীতি, রাজনৈতিক রূপরেখা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ছাড়াই পিছু হটেন, তাহলে জুলাই মাসেই সেই বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দেওয়া হবে।
ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ যেন ঘরে না ফিরে যায়। কেউ যেন মনে না করে দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে। বরং এখন সময় আরও সংগঠিত হওয়ার। কারণ, যেভাবে ১৭ বছরের শাসনব্যবস্থায় নিপীড়নের শিকার সকলে কেন্দ্রীয় আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমেছিল, এবারও দরকার তেমন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
তিনি বলেন, এবারের আন্দোলন ভাঙার জন্য নয়, গড়ার জন্য। নতুন একটি সমাজব্যবস্থা, নতুন একটি শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণে ছাত্র-জনতার ভূমিকা হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এনসিপির নেতা দাবি করেন, ড. ইউনূস এখন শুধু একজন ব্যক্তি নন, বরং একটি আশা, একটি দায়িত্ব, একটি স্বপ্নের নাম। তাকে ঘিরে গঠিত হয়েছে নতুন প্রজন্মের পরিবর্তনের আশা, এবং সেই পরিবর্তন থেমে যাওয়া উচিত নয়।
সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরাও বক্তৃতায় এ ধরনের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান এবং দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান করার ঘোষণা দেন।
তারা বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তে কেউ যদি স্বপ্নকে ভেঙে দিতে চায়, তবে নতুন নেতৃত্ব, নতুন কাঠামো এবং নতুন শক্তির উত্থান অনিবার্য। #enews71 #ইনিউজ৭১