প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১৩:১৩
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীকে বিতর্কের বাইরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনী জাতির গর্ব এবং এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার যে কোনো প্রচেষ্টা স্বাধীন দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। শনিবার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা ও আস্থা অটুট রাখতে রাজনৈতিক অঙ্গনে দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। তিনি মন্তব্য করেন, কেউ যেন এমন কিছু না করেন, যা এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ’ বলে উল্লেখ করে বলেন, এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা। সংঘাত ও বিবাদে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে জাতিকে অগ্রসর করা জরুরি।
জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বরাবরই নির্বাচন ও সংস্কারের একটি রোডম্যাপের দাবি জানানো হয়েছে, তবে এখনো তা জনগণের সামনে আসেনি। তিনি সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি মনে করেন, এ ধরনের সংবেদনশীল ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি, এবং এর ব্যবস্থাপনায় হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত নিয়ে পরিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত টাইমলাইন জামায়াতে ইসলামী মেনে নিয়েছে এবং সরকারকে সহযোগিতায় আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি অন্যান্য দল ও সংগঠনকেও অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
এই বৈঠকে জামায়াতের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও রফিকুল ইসলাম খান। তাঁদের উপস্থিতি দলীয় ঐক্যের বার্তাই বহন করছে বলে মনে করা হয়।