প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৯:২৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিকরা তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন। রোববার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন রুটে সব ধরনের সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
কর্মবিরতির পেছনে মূলত সড়কে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, গাড়ি ছাড়াতে অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব অভিযোগ তুলে মালিক-শ্রমিকরা শনিবার শহরের মেড্ডা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে রোববার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
জেলা সিএনজি মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের অব্যাহত হয়রানি ও বেআইনি অর্থ দাবি বন্ধ না হলে সিএনজি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। বর্তমানে অন্তত ১০০টিরও বেশি গাড়ি ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক জানান, পুলিশের কাজ যানজট নিরসন ও আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। যেসব যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র নেই, সেগুলোকেই আটক করা হচ্ছে এবং কাগজ দেখালে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
এই কর্মবিরতির প্রভাবে বিশ্বরোডসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। অনেকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাচ্ছেন না, কেউ কেউ বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় একজন জানান, তিনি ভৈরব থেকে এসে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কোনো সিএনজি না পেয়ে সাধারণ এক বাইকারের সহায়তা নেন, কিন্তু অবরোধকারীরা তাতেও বাধা দেন। এতে তার মত যাত্রীরা জেলার প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছেন।
বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, এ ধরনের সমস্যা সমাধানে দ্রুত সংলাপ ও বাস্তবসম্মত সমঝোতা দরকার, যাতে একদিকে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা হয় এবং অন্যদিকে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত না হয়।