প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৩
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত দেশের সকল আঞ্চলিক ও ইউনিট কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সংগঠনের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যকর থাকবে এবং দেশের অন্য সব কমিটির কাজ স্থগিত থাকবে। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু পরাজিত ও অনৈতিক শক্তি এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ বলেন, যারা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে চাঁদাবাজির একটি ঘটনা। সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে সংগঠনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনের মাধ্যমে রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রিমান্ড চাওয়া অন্য তিন আসামি হলেন- সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন। এছাড়াও মামলা করা হয়েছে আরও দুইজনের বিরুদ্ধে, যারা হলেন- কাজী গৌরব অপু এবং আইনের সংঘাতে জড়িত কিশোর মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও অপু গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে তাকে হুমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
ঘটনার পর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় গিয়ে পুনরায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে জানালে অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে সংগঠনের সকল কমিটি স্থগিতের সিদ্ধান্তে ছাত্র সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।