প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৯:৭
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি বাড়ির তথ্য মিলেছে, যার আনুমানিক মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ কোটি টাকারও বেশি। এই দুটি বাড়ি ২০১৪ সালের ৫ মে এবং ২০২৪ সালের ৬ জুলাই তারিখে কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই সম্পত্তির তথ্য বাংলাদেশের আয়কর নথিতে তিনি প্রদান করেননি, যা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, তদন্ত দলের পক্ষ থেকে সম্পত্তির বিস্তারিত ঠিকানা ও দলিলসহ সুনির্দিষ্ট তথ্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। আদালতের অনুমোদন পেলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দুই সম্পত্তি জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দুদকের বক্তব্য অনুযায়ী, শুধু দুটি বাড়িই নয়, জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১৩টি বাড়ি ও একটি শপিংমলের মালিকানার অভিযোগও উঠেছে। এই সম্পত্তিগুলোর উৎস ও বৈধতা খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলমান এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আরও তথ্য উদঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
দুদক মনে করছে, এসব সম্পদ সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের আত্মীয়দের মাধ্যমে বিদেশে পাচারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। এজন্য অনুসন্ধান আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তা হবে জাতির জন্য একটি চরম লজ্জাজনক ও উদ্বেগজনক ঘটনা। কারণ, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পদের স্বচ্ছতা নিয়ে এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষত ছাত্র ও যুব সমাজ এই অনুসন্ধানকে স্বাগত জানিয়ে পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার দাবি করেছে।
জয়ের যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দুদক এই বিষয়ে শিগগিরই গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।