প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ২২:১৫
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপি ড. ইউনূসকে সম্মানের সঙ্গে পদে রাখতেই আগ্রহী, তবে তিনি আবেগের বশবর্তী হয়ে যদি নিজেই সরে দাঁড়ান, তবে জাতি নতুন বিকল্প বেছে নেবে।
শুক্রবার (২৩ মে) এক সাক্ষাৎকারে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির মূল চাহিদা একটি নির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী রোডম্যাপ। পদত্যাগ বা পরিবর্তন নয়, বরং সংকট নিরসনে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনার দিকেই বিএনপি তাকিয়ে আছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে গড়িমসি করছে এবং সময়ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ তার।
তিনি আরও বলেন, জাতি এখন একটি গভীর রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে নির্বাচনই একমাত্র পথ এবং সে নির্বাচন হতে হবে অংশগ্রহণমূলক। ইউনূস যদি এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হন এবং আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নেন, তবে তাতে জাতি থেমে থাকবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ড. ইউনূসের পদত্যাগে তেমন কোনো শূন্যতা তৈরি হবে না। বিএনপি বরং চায় তিনি সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন এবং দেশের জন্য কার্যকর রোডম্যাপ তুলে ধরুন। তার সরে যাওয়া মানে সমস্যা থেকে পালানো, যা এই মুহূর্তে কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সংস্কারের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, এই সংস্কার দেড়-দুই মাসের মধ্যেই সম্ভব, যদি আন্তরিকতা থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহল নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯ মে থেকে বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চাইলেও সেটি এখনও সম্ভব হয়নি। সরকারপন্থী কিছু উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি বিএনপিকে প্রতিপক্ষ মনে করে এই বৈঠককে নস্যাৎ করছে, এমনটাও অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলমের বক্তব্যের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপির কোনো আন্দোলন ইউনূসকে পদত্যাগে বাধ্য করেনি। বরং ঢাকাবাসী আন্দোলনে নেমেছে ইশরাক হোসেনকে শপথ না করানোর প্রতিবাদে। এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।