প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ১৩:৮
গণহত্যার অভিযোগে শুধু শেখ হাসিনাই নন, আওয়ামী লীগকেও দলীয়ভাবে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণ এখন একটি ভয়াবহ শাসনব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে যেখানে নাগরিকদের অধিকার, মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে। ফখরুলের মতে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং গণবিক্ষোভ দমন প্রক্রিয়া থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় সরকার চরম দমন-পীড়নের নীতি অবলম্বন করছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরাসরি গত বছরের গণহত্যায় জড়িত ছিলেন এবং তার দলের অনেক নেতাকর্মীও এতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সুতরাং এই দায়ভার শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং এটি দলীয় পর্যায়ে বিচার্য হওয়া উচিত। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে নয়, জনগণের কণ্ঠরোধ করতে গিয়েও নৃশংসতা চালিয়েছে। এমনকি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নিরীহ নাগরিকরাও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন আর ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছে না। গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচন ও সংস্কার একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, যারা নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা যেন জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে পুনর্বিবেচনা করেন। তিনি মনে করেন, এখনই সময় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারের।
আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ইতিহাস কাউকে ছাড় দেয় না। একদিন না একদিন সকল অন্যায়ের বিচার হবেই। সেই বিচারে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ফখরুলের এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।