প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১৫:৬
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, ৭ দফা দাবি ও জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হলেই যে কোনো সময় জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসান মাহবুব জুবায়ের।
এই বৈঠকে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ আয়োজন সংক্রান্ত আলোচনাও হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে, যেখানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক লাখ নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এহসান মাহবুব জুবায়ের বলেন, “আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি চালু, ৭ দফা দাবি মেনে নিলে আমরা প্রস্তুত রয়েছি যেকোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে।”
সমাবেশ উপলক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে জামায়াতকে সব ধরনের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। জামায়াত মনে করে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই সমাবেশ হবে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিএনপিসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদবিরোধী দল ও সংগঠনকেও এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত। দলটি বলছে, একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা জানান, সমাবেশে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে জামায়াত সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতের এই অবস্থান আগামী নির্বাচনের রাজনৈতিক চিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তারা মনে করছেন, যদি দাবিগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে অন্যান্য দলগুলোর মধ্যেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ বাড়তে পারে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতের অবস্থান ও কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার বিষয়, সরকার এই দাবিগুলোর প্রতি কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।