প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি দুর্নীতিমূলক মামলার চার মাস পর তিনি এই ছুটিতে গেলেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘হেলথ পলিসি ওয়াচ’-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস এক অভ্যন্তরীণ ইমেইলের মাধ্যমে জানান, পুতুল ছুটিতে যাচ্ছেন এবং তার দায়িত্বে থাকবেন ডব্লিউএইচওর সহকারী মহাপরিচালক ক্যাথারিনা বোহম।
জানা গেছে, ক্যাথারিনা বোহম ১৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি ‘অফিসার ইন চার্জ’ হিসেবে আপাতত আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। তার আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা নিজের প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে এই পদে বসান।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাংলাদেশে দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, পুতুল তার প্রচারণার সময় নিজের একাডেমিক যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সম্মানী পদ দেখিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
এছাড়াও, পুতুলের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বাধীন সুচনা ফাউন্ডেশনের জন্য প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তোলার অভিযোগ রয়েছে। এই অর্থ আদায়ের প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।
এই মামলাগুলোর প্রেক্ষাপটে পুতুল এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে স্বাভাবিক সফর করতে পারছেন না। গ্রেফতারের শঙ্কায় তিনি নিজ দেশেও ফিরছেন না বলে জানা গেছে।