প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ২১:৪৯
রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি কখনো কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। দলটি সব সময় আইনের শাসনের পক্ষে কাজ করেছে, আগামীতেও করবে।
শনিবার বিকেলে গুলশানে লেকশোর হোটেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানটি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয়।
সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে একজন ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যাসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা ত্যাগ স্বীকার করছেন, তাদের আরও কিছুদিন ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করতে হবে গণতন্ত্রের জন্য। তিনি দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, কেউ যেন কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত না হয়।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি শহীদ ছাত্রনেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং ভবিষ্যতের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন যে বিশৃঙ্খলা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে—তার মূল কারণ হলো গণতন্ত্রহীনতা ও অবৈধ শাসনব্যবস্থা। দ্রুত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারই পারে দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের প্রকৃত প্রতিনিধিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
ছাত্রদলের শহীদদের নিয়ে একটি পুস্তক তৈরির পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে শহীদ ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের দাবি জানান তিনি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।