ক্যামেরার সামনে বীভৎস খুন, নেপথ্যে কারা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন মন্তব্যে উঠে এসেছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মদদেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান সরাসরি ডিজিএফআইকে দায়ী করে ফেসবুক লাইভে বলেন, "ডিজিএফআই ও এনএসআই চাইলে মিটফোর্ডের পুরো রহস্য একদিনেই উন্মোচন করতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। বরং ভারতীয় পরামর্শে অস্থিরতা তৈরির জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি ঘটানো হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, “যেভাবে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তি এবং হামলাকারীদের সমন্বয় ছিল, যাতে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।”

একই ধরনের বক্তব্য রেখেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, ডিজিএফআই রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতে এবং জনমত নিয়ন্ত্রণ করতে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তা মিডিয়ায় পরিচালিতভাবে ছড়িয়েছে। বিএনপিকে দুর্বল করতে এবং জনসমর্থন নষ্ট করতে এটি একটি পরিকল্পিত ‘গ্রান্ড ডিজাইন’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রবাসী লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য্য তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “বিএনপির দুর্বৃত্ত অংশকে মাঠে নামিয়ে সুশৃঙ্খল পরিকল্পনায় বিএনপিকে একটি ঘৃণিত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। খুনের এই ‘স্পেক্টাকল’ কাদের পরিকল্পনায় হলো, কে ভিডিও করলো—এসব প্রশ্নের উত্তর সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে আছে।”

এই ঘটনায় বিএনপিপন্থী নেতাকর্মীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা মনে করছেন, একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

বর্তমানে এই হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।