প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১৬:৩
মানবিক করিডোর ইস্যুতে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো অন্ধকারে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তার মতে, এই করিডোরের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার কোনো স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না, বরং এটি বাংলাদেশকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই করিডোর হতে পারে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধের সূচনা বিন্দু।
জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আগ্রাসনের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তা জাতির জন্য অশনিসংকেত। এ বিষয়ে কোনো জাতীয় ঐক্য বা আলোচনার উদ্যোগ না নিয়ে একচেটিয়াভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।
তিনি আরও বলেন, কোনো আগ্রাসী পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের সিদ্ধান্তে নয়, জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণ হওয়া উচিত।
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে যে সরকার দেশ চালাচ্ছে, তারা দুর্বল এবং জনসমর্থনহীন। এই সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না, বরং নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতেই ব্যস্ত। তাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো জনমতের বাইরে গিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচন চাইলেও সরকার তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা বরং নির্বাচন ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা ও কৌশল নিচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ভারতের সাথে করা নদী চুক্তি শুধু দেশের স্বার্থবিরোধী নয়, এটি দেশের পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি।
রিজভীর অভিযোগ, সরকার জানতো এই চুক্তির ফলে নদীর প্রবাহ কমবে, কৃষিকাজ বাধাগ্রস্ত হবে এবং পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। তবুও তারা জনগণের ক্ষতির কথা বিবেচনা না করে এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বক্তারা একযোগে দাবি করেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সকল নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সর্বদলীয় ঐকমত্য জরুরি।