প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১৮:২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এবং প্রস্তুত। সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। সম্প্রতি বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল চীন সফর শেষে দেশে ফেরার পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে গত ২২ জুন ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি চীন সফরে যান এবং ২৭ জুন দেশে ফেরেন। এই সফরে চীনের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিএনপি চীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। পাশাপাশি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চীন যে আন্তরিকতা নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। চীন বিশ্বাস করে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা উচিত এবং সেই লক্ষ্যে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, চীন মনে করে, একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা পেলে দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা আরও সহজ হবে। এই সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতেও সহায়ক হবে বলে আশা করছে চীন।
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার প্রশ্নে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের অবস্থান অত্যন্ত ইতিবাচক এবং তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। বিএনপি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান এবং উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।
এই সফরের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক ও কৌশলগত যোগাযোগের দ্বার আরও প্রশস্ত হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দলটি ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে আরও কার্যকর ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে।