প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৫, ১২:৩০
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বার্তা দিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবরস্থানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলন শুধু সরকার পতনের লড়াই ছিল না, এটি ছিল একটি নতুন বন্দোবস্তের দাবি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আদায় করেই ছাড়ব।” এনসিপির দেশ গঠনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই পদযাত্রা শুধু প্রতীকী কোনো ইভেন্ট নয়, বরং এটি মানুষের কাছে নতুন বাংলাদেশ গঠনের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শহীদ আবু সাঈদের লড়াই আমাদের অনুপ্রেরণা। তার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি তিনটি দাবি—বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান। তিনি বলেন, “বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে গিয়ে আমরা মানুষকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস জোগাবো। নতুন সংবিধানের মধ্য দিয়েই নতুন বাংলাদেশ আসবে।”
এসময় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়। গণহত্যার বিচার শেষ করতে হবে এবং গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন করে গণভিত্তিক সংবিধান রচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “আবু সাঈদের কবরের মাটি ছুঁয়ে শপথ করছি—এই সংগ্রাম থামবে না যতদিন না সত্যিকারের নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।”
নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে যে, তারা শুধু অতীত স্মরণে নয়, ভবিষ্যতের কাঠামো গঠনে নিয়োজিত। এনসিপি এবার মাঠের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে শুধু দাবি নয়, সংগঠিত পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণের মাঝে পৌঁছানোর চেষ্টা স্পষ্ট। শহীদদের স্মরণ আর শপথের সমন্বয়ে জুলাই উপলক্ষে শুরু হওয়া এ আন্দোলন এখন একটি দিকনির্দেশনামূলক পদক্ষেপে পরিণত হয়েছে।
আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক বার্তার সুষ্পষ্টতা প্রমাণ করে, এনসিপি রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছাতে চায়। নতুন সংবিধান, ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠছে, তা দেশের আগামী রাজনৈতিক পথচলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।