বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে বর্তমান সংকট নিরসনে নির্বাচন ও সংস্কার দুটিই সমান জরুরি। কোনো একটি বাদ দিয়ে আরেকটি নিয়ে কাজ করলে প্রকৃত সমাধান সম্ভব নয়। শনিবার বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু মহল নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তারেক রহমান বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় জনগণের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দৈনন্দিন জীবনে টিকে থাকা। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভ্যাটের বাড়তি চাপের কারণে দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অনেক পরিবারে নীরব হাহাকার চলছে এবং সংসার পরিচালনা করাই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা এবং জনগণের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা তৈরি করা এখনই জরুরি। পাশাপাশি জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচার বন্ধে তৎপরতা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের জানমাল রক্ষা করা। এ জন্য আইনি ব্যবস্থা কার্যকর এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনই একমাত্র সমাধান নয়। বরং নির্বাচন ও সংস্কার উভয়ের মাধ্যমে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তিনি জনগণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।
তারেক রহমান জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে একটি কার্যকর পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যা জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রমিকদের অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী করতে সুশাসনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তারেক রহমান মনে করেন, জনগণের কল্যাণের জন্য দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে সবার সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পাশাপাশি দেশে একটি কার্যকর সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করার সময় এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।