প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১২:৩২
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র আসন্ন বৈঠক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাহাড়ি অঞ্চলের অধিকারকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট থোয়াই চিং মং শাক। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জুলাই মঞ্চে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, ইউপিডিএফ কোনো রাষ্ট্র স্বীকৃত রাজনৈতিক সংগঠন নয়, বরং একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এদের সাথে জাতীয় পর্যায়ের সংলাপ বা বৈঠক করা রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে বলে মত দেন তিনি।
তার ভাষ্যে উঠে আসে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংকট শুধু স্থানীয় নয়, বরং এটি একটি জাতীয় সমস্যা। ফলে এর সমাধান নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠী বা সংগঠনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব নয়। তিনি সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই স্থায়ী সমাধানের আহ্বান জানান।
অ্যাক্টিভিস্ট থোয়াই চিং মং শাক বলেন, ইউপিডিএফ’র সাথে এককভাবে বৈঠক করলে এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে, যা পার্বত্য এলাকার স্থিতিশীলতা আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। তিনি আরও দাবি করেন, এই গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসে জড়িত।
তিনি মনে করেন, সরকার যদি প্রকৃত শান্তি চায়, তবে ইউপিডিএফসহ সকল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে অপসারণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অস্ত্রধারী দস্যুতা এবং সাধারণ জনগণের ওপর নির্যাতনের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করে জানান, ঐকমত্যের নামে যেকোন একতরফা উদ্যোগ বা আঞ্চলিক স্বার্থকেন্দ্রিক বৈঠক রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তাই বৈঠকের আগে সরকারের উচিত জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্বেগগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা।
তিনি আশা করেন, সরকার সুস্পষ্ট নীতিমালা ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাহাড়ি সংকট নিরসনে এগিয়ে যাবে, যেখানে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বৈধতার সুযোগ না পায়।