বরিশালে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর স্বজনদের দাবী তিশা কর্মকার আত্মহত্যা করেছে। তবে ওই গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যজনক বলছে পুলিশ। আর এ কারণে তার স্বামী বাপ্পি কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর হাসপাতাল রোডের ‘কর্মকার ভবনের’ তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া বাসার নিজ কক্ষে তিশা কর্মকার নামের ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি পরিবারের।
জানা গেছে, নিহত তিশা কর্মকার পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি এলাকার বাঁশতলা গ্রামের সুকদেব কর্মকারের মেয়ে। তিন বছর পূর্বে নগরীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা রবিন কর্মকারের ছেলে বাপ্পি কর্মকারের সাথে বিয়ে হয় তার। বাপ্পি নেশায় আসক্ত হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই তাদের পরিবারে কলহ বিরাজমান ছিলো বলে দাবি নিহতের স্বজনদের।এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন নিহতের স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। তবে শনিবার দুপুরের দিকে তিশার মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
নিহত তিশা কর্মকারের ননদ রাখি কর্মকার জানান, বাপ্পি কর্মকার রাতে বাথরুমে যায় এবং সেখান থেকে ফিরে এসে দেখতে পান বৌদি আত্মহত্যা করেছে।বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই ফিরোজ আল মামুন জানান, তিশা কর্মকারের মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা দাবী করা হলেও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যা বলে মনে হয়েছে। মৃতদেহের হাতে এবং গলায় দাগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) মো. রাসেল জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূ তিশার স্বামী বাপ্পি কর্মকারকে আটক করা হয়েছে।