এক বছরের বেশি সময় ধরে অবিভাবকহীন থাকার পর ফের জেগেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম হেভিওয়েট খ্যাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (জবি) ছাত্রলীগ।জাহাঙ্গীর কবির নানকের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল ইউনিট এর কমিটি দেয়া ও আংশিক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণার পর ফের আলোচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।জবি ছাত্রলীগের আসন্ন নেতৃত্ব নিয়ে বহুপ্রত্যাশা ও চাওয়া পাওয়া জমে আছে ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে।
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিট এত দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্বহীন থাকা এটা মেনে নেয়া কষ্টকর। আসন্ন কমিটির নেতারা যাতে ছাত্রবান্ধব হয়, সকল প্রতিকূল অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে ও কাজ করে।আমি যাকেই সাপোর্ট করিনা কেন।সবসময় চিন্তা করি।আমার নেতৃত্বে যে থাকবে তাকে যোগ্য, সৎ হতে হবে।আর পূণাঙ্গ কমিটি দিলেই আমরা উপকৃত হব।কারণ ভার্সিটি লাইফের দুই বছর হলো বন্ঞিত হয়েছি।এখনো কমিটি দেয়নি।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট।
২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী পারভেজ বলেন,ছাত্রবান্ধব নেতা যিনি ছাত্র-ছাত্রী দের যেকোনো সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করবেন।নোংরামি, মারামারি,নিজেদের মাঝে কোন্দল এইসবকে প্রশ্রয় দিবে না।অার নেতা যেনো একজন মেধাবী, বিচক্ষণ, সাহসী হন।গত ১৯ ফ্রেব্রয়ারী, ২০১৯ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তরিকুল-রাসেল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর ২০ জুলাই ২য় বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এর পর এক বছর পার হলেও নেই জবি ছাত্রলীগ কমিটি।এতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পরে ফলে কেউ কেউ সরে পরেছেন লেখাপড়া ও সংসার জীবনে। দীর্ঘ সময় কমিটি না থাকার পরেও কিছু পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের ধরে রেখেছেন জবি ছাত্রলীগের হাল।বিভিন্ন দূর্যোগ ও দুঃসময়ে জবি শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন।