বরিশালের বাকেরগঞ্জে কবাই ও নলুয়া ইউনিয়নের সংযোগ ব্রীজের বেহাল অবস্থায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।প্রায় পনের বছর আগে ব্রীজটি নির্মিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।বাঁশ আর গাছ দিয়ে জোড়াতালি দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রীজটি পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধরা ব্রীজ পাড় হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন।দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হোক। অপরদিকে দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, অচিরেই ব্রীজটি পুর্ননির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পনের বছর আগে কবাই ও নলুয়া ইউনিয়নের সংযোগ ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়।দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ব্রীজটির বিভিন্ন স্থানের পাটাতন ভেঙ্গে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে ব্রীজের ভাঙা অংশে বাঁশ আর গাছ দিয়ে কোনরকম চলাচল করলেও সরু এ ব্রীজের দুই পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারীরা।ফলে ব্রীজ পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভের সাথে জানান, ভাঙা এ ব্রীজ দিয়ে দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াত।এছাড়া কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশি। ওই ব্রীজটি দিয়ে পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে পঙ্গুত্বের জীবন কাটাচ্ছেন।জানা গেছে, ব্রীজটির দক্ষিণ পাড়ে মোল্লার বাজার আর উত্তর পাড়ে জেদন আলী সিকদার জামে মসজিদ রয়েছে।এ ব্রীজ দিয়ে মাছুয়াখালী শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাছুয়াখালী দাখিল মাদ্রাসা, মাছুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলুয়া ইউনিয়নের মোল্লা বাজার, আফালকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আবুল কাশেম মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শিমুলতলা বাজারের হাজারো মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা পারাপার হয়।
এ ব্যাপারে কবাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম তালুকদার বাদল বলেন, ব্রীজটি কোথায় এবং কি অবস্থায় আছে তা আমার জানা নেই।নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফিরোজ আলম খান বলেন, ব্রীজটি আমার ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়।বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্য মাসুদ আলম খান বলেন, ব্রীজটির বর্তমান অবস্থা খুবই ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অচিরেই যাতে ব্রীজটির পুন:নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।তবে এলাকাবাসী এই পাটাতন ব্রীজের পরিবর্তে একটি সেতু নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।