প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৩১
রাজধানীর প্রতিটি থানায় পুলিশি সেবার মান উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট উপ-কমিশনারদেরকে (ডিসি) সপ্তাহে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা থানায় অবস্থান করে থানার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও যেকোন অনিয়ম পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়, নিরীহ অসহায় জনসাধারণের একটা বিরাট অংশ থানায় তার প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমলযোগ্য অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ আমলে না নেওয়া এবং অনাকাঙ্ক্ষিত কালক্ষেপণ করা হয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ অনেক সময় অযথা হয়রানিমূলক আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাপ্য আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও পাওয়া যায়। তাই থানায় সেবার মান বৃদ্ধি ও সেবা প্রত্যাশীরা যাতে হয়রানীর শিকার না হন সে ব্যাপারে ওসিরা কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পাশপাশি জোনাল এসি ও এডিসিরা সার্বক্ষণিক থানার কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ডিসিরা তার আওতাভুক্ত প্রতিটি থানায় প্রতি সপ্তাহে অবস্থানের জন্য পরিকল্পনা করবেন। সে অনুযায়ী থানায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা অবস্থান করে থানার বাস্তব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে সরাসরি আইন অনুযায়ী সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। এমন নির্দেশনা সম্বলিত চিঠির বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডিএমপির ধানমণ্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবদুল্লাহিল কাফী। তিনি বলেন, আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করেছি। আমি নিজে আজ হাজারীবাগ থানায় অবস্থান করে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় পুলিশ সদস্যদের আচরণগত কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না হলে আমি নিজে থানায় গিয়ে ওসিগিরি করবো। সিনিয়র অফিসারদের থানায় বসিয়ে দেব। ডিসিদের সপ্তাহে অন্তত একদিন থানায় বসিয়ে দেব। তারা থানায় বসে ওসিগিরি করবেন।