প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৬:৩৬
বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়লেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্ঘটনার পর হতাহতের সংখ্যা গোপন রাখা কার্যত অসম্ভব। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অসংখ্য দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্টিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে তথ্য গোপন এখানে সম্ভব নয়।
তিনি লেখেন, পরিবারগুলো নিখোঁজ প্রিয়জনদের রিপোর্ট করে এবং হাসপাতাল ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা মৃত বা আহতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। মাইলস্টোন কলেজের প্রতিদিনের উপস্থিতির রেকর্ড ব্যবহার করে হিসাব বহির্ভূতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ফেসবুক পোস্টে প্রেস সচিব জানান, মঙ্গলবার স্কুল পরিদর্শনের সময় দুজন উপদেষ্টার নির্দেশে ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই রুম থেকে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হবে, আহত ও মৃতদের তালিকা মিলিয়ে দেখা হবে, এবং উপস্থিতির রেকর্ডের সঙ্গে ক্রস-রেফারেন্স করে তথ্য যাচাই করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রমে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে তথ্য যাচাই আরও সহজ হয়। সরকারের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার এ উদ্যোগ জনগণের আস্থা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আহতদের অবস্থা নিয়মিত জানাচ্ছে এবং সেনাবাহিনীও এই প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে। সরকার কোনো পরিসংখ্যানকে লুকিয়ে রাখতে চায় না—এটা প্রেস সচিব জোর দিয়ে বলেন।
তিনি জানান, গতকাল উপদেষ্টা দল প্রায় ৯ ঘণ্টা স্কুলে অবস্থান করেছে। যদিও তারা আগে চলে আসতে পারতেন, তবুও পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শেষে তিনি বলেন, প্রাণ হারানো ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। তারা শহীদের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। এ ঘটনা একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি, এবং ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় এড়াতে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।