প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১০:১০
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। এর মধ্যে ২৫ জনই শিশু। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো দেশ শোকাহত।
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কিছু মহল। কেউ কেউ দাবি করছে, দুর্ঘটনায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে সরকার।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই গুজবকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়।
পোস্টে জানানো হয়, “আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে, হতাহতের তথ্য গোপনের যে দাবি করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। সরকার সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করছে এবং নিহত-আহতদের সকল তথ্য যাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।”
নিহতদের মধ্যে যাদের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি, তাদের সনাক্তকরণে ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
পোস্টে আরও বলা হয়, এই ঘটনায় নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশে বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্যালয় একসঙ্গে কাজ করছে।
এছাড়া নিখোঁজদের শনাক্তে স্কুল কর্তৃপক্ষ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে এবং বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রি খাতা ও অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করে নিরীক্ষণ চলছে। পরিচিত কেউ নিখোঁজ থাকলে দ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু এবং গুরুতর আহত অবস্থায় এখনো ৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সরকারি এই অবস্থান থেকে স্পষ্ট—গুজব নয়, বাস্তব তথ্য এবং মানবিক সহায়তাই এখন সবচেয়ে জরুরি।