প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৫
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ২২ জুলাই এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এদিন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একই সঙ্গে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতেও পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
সরকার জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় দোয়া-মোনাজাত ও প্রার্থনার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে শোক প্রকাশের পাশাপাশি জাতীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সহমর্মিতা জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক।
বিধ্বস্তের সময় স্কুলে পাঠদান চলছিল। ক্লাসরুম, করিডোর ও মাঠজুড়ে শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে ছিল। বিমানের ধাক্কায় আগুন ও ধোঁয়ায় চারপাশ ভয়াবহ রূপ নেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও দগ্ধ ও আহত অন্তত ৭০ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। দুর্ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
জাতি আজ বিমর্ষ। শিক্ষাঙ্গনে এমন হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে—এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।