প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১৬:২৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ এবং ৩৩ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এই অভিযানে দুইটি ফিশিং বোটসহ জব্দকৃত জালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। অভিযান পরিচালনাকালে কোস্টগার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটের নীল বয়া এলাকার মেঘনা নদীতে এই অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি আভিযানিক দল সেখানে গেলে দুইটি নৌকা থেকে জেলেরা অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরছিল। তাদের আটক করার সময় তৃতীয় একটি নৌকা দ্রুত সরে যেতে চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া দেয়। তখন জেলেরা হামলা চালায়, এতে একজন কোস্টগার্ড সদস্য ও একজন মাঝি আহত হন।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয় যা বাংলাদেশের জলজ সম্পদের জন্য একটি বড় হুমকি। কোস্টগার্ডের দাবি, এই ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া এসব জাল পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ঘটনার পর জব্দকৃত জাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে। আটককৃত ৩৩ জনকে হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব কর্মকাণ্ড দমন করতে ভবিষ্যতেও কোস্টগার্ডের অভিযান চলবে।
এদিকে হামলার ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই কোস্টগার্ডের তৎপরতার প্রশংসা করলেও, কেউ কেউ জেলেদের নির্ভরশীলতা ও জীবিকার দিকটিও বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রশাসন বলছে, অবৈধ কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাগরে অবৈধ মাছ ধরা ও পরিবেশবিরোধী যেকোনো কার্যক্রম প্রতিরোধে তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে। আইন-শৃঙ্খলা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষায় এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।