প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১৭:৩৬
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী রপ্তানিখাত হিসেবে চা শিল্পকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না, বরং শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার সচেষ্ট।
সভায় উপদেষ্টা জানান, যখন চায়ের মূল্য বৃদ্ধি পাবে তখন রেশিও অনুযায়ী চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হবে এবং নিলামে চায়ের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে চা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে যাদের চিন্তা করার কথা, তারা তা করবে; এটি তাঁর কাজ নয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি জানান, চায়ের নিলাম মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হওয়ায় শ্রমিকরা যথাসময়ে মজুরি পাচ্ছেন না, যা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মোঃ ইমরুল মহসিন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুছ সামাদ আল আজাদ এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক শাহ আব্দুল তারিক সভায় বক্তব্য রাখেন। তারা চা শ্রমিকদের জন্য সরকারি পরিকল্পনা ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন, পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিন।
চা শ্রমিকদের পক্ষে বিজয় হাজরা, গীতারানী কানু ও পংকজ কন্দসহ অনেকে কথা বলেন। তারা তাদের জীবনের নানা সমস্যা, বিশেষ করে মজুরি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশন সংকটের কথা জানান।
চা শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনের দাবিও সভায় ওঠে। শ্রমিকরা চায় যে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক এবং শ্রমিক স্বার্থে সংগঠন আরও সক্রিয় হোক।
সভা শেষে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন শ্রম দপ্তর প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষ চারা রোপণ করে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও দেন।