
প্রকাশ: ৫ মে ২০২৫, ১৫:৫৮

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডোর তৈরির উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, রোহিঙ্গারা যেখানেই থাকুক, তাদের খাদ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে সোমবার অনুষ্ঠিত ডিক্যাব টকে এসব কথা বলেন মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে করিডোর ব্যবস্থা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের ধারাবাহিকতা দেখতে চায়।
মাইকেল মিলার জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ অপরিহার্য। এসব অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। নির্বাচন কখন হবে, সেটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় চাপিয়ে দিতে চায় না, বরং একটি অংশগ্রহণমূলক, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্বাচন হোক সেটাই ইইউ’র লক্ষ্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার কথাও স্বীকার করেছে। মিলার জানান, যেসব দেশের ভিসা তৃতীয় দেশ থেকে নিতে হয়, সেই প্রক্রিয়াগুলোর জটিলতা কমাতে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকার বিচার প্রক্রিয়া কয়েক বছর সময় নেবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

সম্প্রতি আলোচিত জুলাই গণহত্যা প্রসঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, দোষীদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে সেই বিচার যেন আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এটি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ইতিবাচক দিক হলো, পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টাও দৃশ্যমান। ইইউ এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে উৎসাহিত করতে চায়।
এছাড়া নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন তিনি। তার মতে, এই আন্দোলন বাংলাদেশের নিজস্ব রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত, তাই তা অভ্যন্তরীণ আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হওয়া উচিত !