অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, রাষ্ট্রের আর্থিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি পরিকল্পিত বাজেট বাস্তবায়নই বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
বুধবার রাজধানীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। আলোচনা হয় দেশের রাজস্ব নীতিমালা, বিনিয়োগ পরিবেশ ও বাজেট কাঠামো নিয়ে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, একসময় দেশে ব্যয়ের মহোৎসব চলত, বাজেটে ছিল অগণিত খরচ। কিন্তু এখন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। লক্ষ্য হচ্ছে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে একটি বাস্তবসম্মত এবং প্রয়োজনভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা।
তিনি আরও বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা না গেলে অর্থনৈতিক ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে। তাই সরকারের দিক থেকে ব্যয়ের প্রতিটি খাতেই কার্যকর মূল্যায়ন চালানো হচ্ছে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খরচ বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসা করার চেয়ে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করতে আগ্রহী। সরকার নিজে ব্যবসা না করে ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে কাজ করছে। এতে করে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত হবে এবং উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন।
তিনি জানান, একটি কার্যকর ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা গড়ে তোলা গেলে দেশি-বিদেশি উভয় ধরনের বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
সভায় আরও আলোচনা হয়, কীভাবে রাজস্ব আদায় বাড়িয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালী করা যায়। উপস্থিত পরামর্শকরা বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন, যার মধ্যে কর কাঠামো সহজীকরণ, ভ্যাট আদায়ের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়নের কথাও উঠে আসে।
সরকারি নীতিনির্ধারকরা জানান, আসন্ন বাজেট হবে জনকল্যাণমুখী এবং বাস্তবভিত্তিক। লক্ষ্য থাকবে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রতিটি সেক্টরে টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তোলা।