প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১৮:৫৩
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। আদালতে বিচারক তার কাছে জানতে চান, তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন কি না। জবাবে তিনি নির্ভয়ে জানান, 'না, শপথ ভঙ্গ করিনি।'
নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচন পরিচালনা একটি যৌথ প্রক্রিয়া এবং এতে নানা পক্ষের অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব থাকে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিরপেক্ষ ও পদ্ধতিগত হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও পরিস্থিতি অনেক সময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তোলে। ফলে এই বিতর্কের পুরো দায় কমিশনের উপর চাপিয়ে দেওয়া সঠিক নয়।
আদালতে উপস্থিত থাকা আইনজীবীদের অনেকেই সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তারা বলেন, এই ধরনের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে শপথের বিষয়টি কেবল আনুষ্ঠানিক নয়, তা একজন কর্মকর্তার নৈতিক অবস্থানও তুলে ধরে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, দায়িত্ব পালনকালে আইন মেনে এবং শপথের প্রতি আনুগত্য রেখে কাজ করেছেন। তবুও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, যা বাস্তবতার নিরিখে মূল্যায়ন করা উচিত।
এই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নুরুল হুদার বক্তব্য বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বার্তা বহন করে—নির্বাচনের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কমিশনের স্বচ্ছতা ও পদ্ধতিগত দিকগুলো আলাদাভাবে বিবেচনার দাবিদার।
অন্যদিকে, আদালতের পক্ষ থেকে এ মামলায় আরও কিছু পর্যবেক্ষণ ও দলিল বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে নথিপত্র পর্যালোচনার পর।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে দায় এড়ানোর চেষ্টা বলছেন, কেউবা মনে করছেন এটি পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনের আত্মপক্ষ সমর্থনের অংশ।
মেটা কীওয়ার্ড: