চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অঞ্চলে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি প্রান্ত থেকে দুই কোটি লিটার ডিজেল পাম্প করা হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, যা দেশের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা করবে।
এটি ‘লাইন প্যাকিং’ নামে পরিচিত। এই প্রক্রিয়ায় ডিজেল চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে পাম্প করে শুরু হয়েছে, এবং আগামীকাল মঙ্গলবার ডিজেলটি গোদনাইল পৌঁছাবে। এরপর এটি যাবে ফতুল্লা ডিপোতে।
এই প্রকল্পের পরিচালক মো. আমিনুল হক জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম প্রান্ত থেকে ডিজেল পাম্প করা শুরু হয়েছে। কুমিল্লা পর্যন্ত ডিজেল পৌঁছে গেছে, এবং পুরো পাইপলাইন ভর্তি করতে তিন কোটি ১৭ লাখ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হবে।
লাইনের প্যাকিং শেষ হলে, মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হবে। এটি বাংলাদেশের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার একটি বড় পরিবর্তন আনবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হলে অপচয় এবং চুরি রোধ করা সম্ভব হবে। এর ফলে বছরে বিপিসির প্রায় ২৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে এবং তেলের পরিবহন আরও সহজ এবং নিরাপদ হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহের ফলে বিভিন্ন ডিপোতে তেলের যোগান দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্ন হবে।
এ প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হলেও করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য জটিলতায় এটি ২০২২ সালে পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হয়। বর্তমানে এটি দেশের উন্নয়ন এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া, এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিপিসির সরবরাহের সক্ষমতা বাড়বে এবং জ্বালানি তেলের সাশ্রয়ী ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।