প্রকাশ: ২ জুলাই ২০২৫, ১১:১৩
ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বকেয়া টাকা পরিশোধে বাংলাদেশ ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে। এই অর্থ প্রদান সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যয়সহ অন্যান্য আর্থিক সমস্যা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারের কাছে আর কোনো বকেয়া নেই।
পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জুন মাসে এই পরিমাণ অর্থ এককালীন সর্বোচ্চ পরিশোধ করা হয়। পিটিআই সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ ক্রয় ও সঞ্চালন সংক্রান্ত সকল বকেয়া ও ঝামেলা মিটিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দুই মাসের বিলের সমপরিমাণ এলসি (ঋণপত্র) এবং সার্বভৌম গ্যারান্টিও আদানি পাওয়ারকে প্রদান করেছে।
বিপিডিবি (বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) আদানি পাওয়ারকে অনুরোধ করেছে, ঝাড়খণ্ডের গড্ডা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য। তারা এই বিদ্যুৎ ইউনিট থেকে নির্ধারিত হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে চায়।
ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, গত তিন-চার মাস ধরে বাংলাদেশ মাসে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ধারাবাহিকভাবে পরিশোধ করছে। এটি একটি ধারাবাহিক ও সুসম্পন্ন অর্থ প্রদান প্রক্রিয়া যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় ও বিতরণ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছে।
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগ আদানি পাওয়ারের সঙ্গে একটি ২৫ বছরের মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির আওতায় আদানি পাওয়ার ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে ২০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এই আর্থিক নিষ্পত্তির ফলে দুই দেশের বিদ্যুৎ বাণিজ্যে নতুন গতি আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আদানি পাওয়ারকে পাওনা পরিশোধের কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহে যে কোনও ধরনের বাধা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ ধরনের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সেক্টরে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হবে।
এই চুক্তি ও অর্থ প্রদান প্রক্রিয়া বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এবং দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করছে।