প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২৫, ১৭:৭
সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়াকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি চাকরির প্রশাসনিক কাঠামো ও নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তনের পথ খুলছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশোধিত অধ্যাদেশটির প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এরপর তা বিস্তারিত আলোচনার পর উপদেষ্টা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এখন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং শেষে চূড়ান্ত রূপ পাবে।
নতুন অধ্যাদেশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, প্রমোশন ও বদলির ক্ষেত্রে ন্যায়সংগত নীতিমালা এবং শৃঙ্খলা বিধির আধুনিকায়ন।
জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সংশোধন সরকারি চাকরি ব্যবস্থায় আরও গতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। দীর্ঘদিন ধরেই এই অধ্যাদেশে সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সরকারি চাকরি নিয়ন্ত্রণে থাকা বর্তমান অধ্যাদেশটি ১৯৭০-এর দশকে প্রণীত হয়। সময়ের পরিবর্তনে এর কিছু ধারা আর কার্যকর ছিল না বলে দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে আলোচনা চলছিল।
উল্লেখ্য, এই সংশোধিত অধ্যাদেশ কার্যকর হলে নিয়োগ, বদলি ও প্রশাসনিক আপিল ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এখনও তা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন হওয়ার জন্য লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং ও অধ্যাদেশ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।