প্রকাশ: ৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৯
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল আইচসহ চার যুবককে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হামিমুর রহমান। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা এবং ৫০ গ্রাম ক্রিস্টাল আইচসহ চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটক যুবকদের মধ্যে রাসেল মল্লিক, আব্দুর রহমান, রাকিব এবং মেহেদী হাসান রয়েছেন, যাদের প্রত্যেকেই মহিপুর থানার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে রাকিব কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলে বয় হিসেবে কাজ করত বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুয়াকাটার হোটেল ও সমুদ্র সৈকত এলাকায় মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং মূলত পর্যটকদের লক্ষ্য করে মাদক বিক্রি করত।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, এই চারজন সংঘবদ্ধভাবে মাদক ব্যবসায় যুক্ত ছিল এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ক্রিস্টাল আইচ একটি অত্যন্ত ভয়ংকর ও উচ্চমাত্রার মাদক যা শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ক্রিস্টাল আইচ সাধারণত উচ্চবিত্ত ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে প্রশাসন পর্যটন এলাকা কুয়াকাটায় মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্র ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কুয়াকাটার মতো স্পর্শকাতর এলাকায় মাদক চক্র সক্রিয় থাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। স্থানীয়রা এই ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে আরও তৎপরতা কামনা করেছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুধু কুয়াকাটা নয়, পটুয়াখালীর অন্যান্য এলাকায়ও মাদকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তারা সকলকে মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুয়াকাটাকে মাদকমুক্ত রাখতে আরও কঠোর অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় এখানে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক আসেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই ধরনের সফল অভিযানে সংশ্লিষ্টদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে।