জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ১৪ লাখ টন জ্বালানি কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩রা জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ১৪ লাখ টন জ্বালানি কিনবে সরকার

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সাতটি দেশের আটটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এই তেল আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।  


সূত্র জানায়, সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে (জিটুজি ভিত্তিতে) এই তেল আমদানি করা হবে। সাত দেশের আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান—পেট্রোচীনা ও ইউএনআইপিইসি। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ভারতের আইওসিএল, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, ওমানের ওকিউটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইউএনওসি। 


জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, আমদানি করা তেলের মধ্যে গ্যাস অয়েল ৮ লাখ ৮০ হাজার টন, জেট এ-ওয়ান ১ লাখ ৯০ হাজার টন, মোগ্যাস ৭৫ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার টন।  


একই বৈঠকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সয়াবিন তেল সরবরাহের কাজ পেয়েছে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড। এটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যেখানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৭১ টাকা ৯৫ পয়সা। এই তেল টিসিবি’র মাধ্যমে পরিবার কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা হবে।  


অন্যদিকে, শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ১০ হাজার টন মসুর ডাল সরবরাহের চুক্তি পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা এবং প্রতি কেজি ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা।  


জ্বালানি তেল, সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল ক্রয়ের এসব পদক্ষেপ দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।