প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১৮:১২
রোববার (১৮ মে) থেকে রাজধানীর বিজয় সরণি হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সব ধরনের সভা, মিছিল, সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) শনিবার (১৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত জনসাধারণের চলাচল সহজতর এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একই ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল। ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটক, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এর প্রবেশ পথ এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ডিএমপি এ বিজ্ঞপ্তিতে সকল ধরনের সভা, মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও একাধিক সংগঠন এ সিদ্ধান্তের প্রভাব এবং ভবিষ্যতে তাদের কর্মসূচি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির জন্য প্রশাসনের নির্দিষ্ট স্থান ও সময় নির্ধারণ করা উচিত যাতে সুষ্ঠু যোগাযোগ ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়।
নগরবাসী আশা করছে প্রশাসন নির্ধারিত এলাকা গুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে যাতে জনজীবন তেমনভাবে ব্যাহত না হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার হয়। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর এই নিষেধাজ্ঞা আগামীদিনে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে তা সময়ের সঙ্গে বুঝতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের এই পদক্ষেপে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।