প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১৫:৫৬
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে বেশ কয়েকটি আইনগত ও মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, যা সরে গেলে প্রশাসনিক অস্পষ্টতা দূর হবে। তিনি বলেন, এসব সমস্যা সঙ্কুচিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
উপদেষ্টা জানান, মেয়র পদে যোগদানের বিধি, মেয়াদের গণনা ও সংশ্লিষ্ট আদেশের বৈধতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযথ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মেয়রাল পরিষদ পরিচালনা ব্যাহত হবে এবং শপথপত্র যাচাই করে নিতে হবে।
তিনি আশা করেন, আইনি ফাঁকফোকর মেটাতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও কমিশনের মধ্যে দ্রুত সংলাপ হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনকে অস্থায়ী ব্যবস্থায় পৌরসেবা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
আন্দোলনকারীদের কারণে শহরে যানবাহন চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষকে দৈনন্দিন জীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি আন্দোলনকারীদের ভোগান্তি বিবেচনা করে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান এবং প্রশাসনের সঙ্গে সুষ্ঠু আলোচনা করতে বলেন।
এই কথা তিনি সোমবার (১৯ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে বলেন। অনুষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরকেন্দ্রে বলেন, সীমান্তবর্তী কোনো স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং খেলোয়াড় ও ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে।
মেয়র পদে দীর্ঘদিন স্থগিতাবস্থার কারণে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজেও বাধা পড়েছে। এলাকাবাসী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও বুনিয়াদি সেবা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তার শিকার হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।
তিনি আশ্বস্ত করেন, মেয়াদ নির্ধারণ ও আইনি জটিলতা মিটিয়ে শহরের গঠনমূলক কর্মসূচি পুনরায় চালু করা হবে। ততক্ষণ শহরের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রশাসন দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সমগ্র প্রসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান হলে ইশরাক হোসেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মেয়র পদে যোগদান করতে পারবেন এবং নগরবাসী তাদের জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিকভাবে পাবে।