প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০:৫৫
নির্বাচন কমিশন আইন গঠন নিয়ে রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। অনেকটা হঠাৎ করেই সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খড়সার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার। যেখানে বলা হয়েছে সিইসি সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে গঠিত হবে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি। অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থার স্থায়ী রূপ দেয়ার দাবি করা হলেও তীব্র সমালোচনা বিএনপির। দলটির অভিযোগ আওয়ামী লীগের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে আইনে।
একদিন পর এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিলো বিএনপি। দলটির অভিযোগ আইন করা নিয়ে চলমান প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের দলীয় স্বার্থে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, অনুগত নির্বাচন কমিশন গঠনের চলমান প্রক্রিয়াকে দলীয় স্বার্থে আইনি কাঠামো দেয়ার সরকারের অপপ্রয়াসের ফলাফল হবে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন।
আর ইসি গঠনের এই প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে দেখছে না সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। সংগঠনটির সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতা দুর করতে পারবে না নতুন এ আইন। জানান, এটা মূলত সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের যে ধারা শুরু হয়েছে তার আইনগত বৈধতা দেয়া। কিন্তু সার্চ কমিটি দ্বারা গঠিত গত দুইটি নির্বাচন কমিশন যারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে এবং জনগনের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, কোন চাপ বা দুরভিসন্ধি নয়, জনআকাঙ্খা আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছাতেই হচ্ছে এ আইন। ক্ষমতাসীনরা মনে করেন, বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা না করে এ উদ্যোগে বাহবার দাবিদার তারা।