এসপি মারুফের মহাভবানুতায় চোখের আলো ফিরে পেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: শুক্রবার ৫ই নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩২ অপরাহ্ন
এসপি মারুফের মহাভবানুতায় চোখের আলো ফিরে পেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের মানবিক সহায়তা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম ইউসুফ আলী। ফলে বাকি জীবন তিনি পৃথিবীর আলো দেখতে পাবেন। 


চিকিৎসার মাধ্যমে দৃষ্টি ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতার চোখ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটে আসেন মানবিক জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম-এর কাছে। নিজের চোখে তাকে দেখতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ। গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পুলিশ সুপারের মানবিকতার জন্য। এসময় রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত সরকার উপস্থিত ছিলেন। 


সূত্রমতে, ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। একপর্যায়ে তার চোখের আলো নিভে যায়। আর্থিক দৈনত্যায় তার উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো পরিস্থিতি ছিলোনা। 


সূত্রে আরও জানা গেছে, মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম বরগুনার পুলিশ সুপার থাকাককালীন সময়ে তার কাছে সহযোগিতা চায় চোখের আলো নিভে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা। পুলিশ সুপার দেশের এ বীর সেনানীর উন্নত চিকিৎসার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরইমধ্যে মারুফ হোসেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি হয়ে আসলেও মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর অপারেশনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা তিনি ভুলেননি। তার দেয়া ফলশ্রুতিতে অতিসস্প্রতি তার (মুক্তিযোদ্ধার) চোখের অস্ত্রপাচার সম্পন্ন করা হয়। এর যাবতীয় ব্যয় বহন করেছেন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। এতে আবারো চোখের আলোয় পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী। 


ইউসুফ আলীর সাথে বরিশালে আসা তার ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, বাবার উন্নত চিকিৎসা থেকে শুরু করে পরবর্তী সকল ব্যয়ভার ও নগদ অর্থ প্রদান করেছেন এই পুলিশ সুপার। ফলে আমার বাবা আবারো পৃথিবীর আলো দেখতে পারছেন। 


বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসার অভাবে চোখ হারাবেন এটা মেনে নেয়া যায়না। তাই দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মুল্যবোধ থেকেই মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ অসহায় ব্যক্তির অস্ত্রপাচারজনিত চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেছেন।