প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১০:৪৭
বর্তমান সময়ের তরুণদের ফ্যাশন ধারা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় ও উদ্ভাবনী। নতুন প্রজন্ম পোশাকে শুধু স্টাইল নয়, বরং স্বাচ্ছন্দ্য, পরিবেশবান্ধবতা এবং ব্যক্তিত্বের প্রকাশকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। শহরের তরুণরা এখন আর শুধু ব্র্যান্ড দেখে পোশাক বেছে নেয় না, বরং ট্রেন্ড ও প্রয়োজন অনুযায়ী স্টাইল নির্ধারণ করে।
আজকাল ছেলেদের মধ্যে বাগি জিন্স, কার্গো প্যান্ট, ওভারসাইজ টি-শার্ট এবং স্পোর্টস জ্যাকেট বেশ জনপ্রিয়। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কুর্তি-প্যান্ট কম্বিনেশন, হিজাব ফ্যাশনে নতুনত্ব এবং ওয়েস্টার্ন ও ট্র্যাডিশনাল ফিউশন পোশাকের ব্যবহার। এই ফিউশন স্টাইলেই তারা নিজেদের আরও আত্মবিশ্বাসী ও ট্রেন্ডি মনে করছে।
তরুণদের ফ্যাশনে আজকাল অ্যাকসেসরিজের ব্যবহারও অনেক বেশি লক্ষণীয়। চেইন, রিং, স্মার্ট ওয়াচ, রেট্রো সানগ্লাস কিংবা মিনিমাল ব্যাগ এখন যেকোনো পোশাকের পরিপূরক হিসেবে বিবেচিত। এই জেনারেশন ফ্যাশন মানেই কেবল দামী ব্র্যান্ড নয়, বরং অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাস্টমাইজড ও লোকাল ডিজাইনের প্রোডাক্টকেও অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে।
ফ্যাশন সচেতনদের মধ্যে এখন ‘সাসটেইনেবল ফ্যাশন’ বা পরিবেশবান্ধব পোশাকের ব্যবহারও বাড়ছে। রিসাইকেল উপাদানে তৈরি জামাকাপড়, কম পানিনির্ভর উৎপাদন প্রক্রিয়া কিংবা সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রচারে সহায়ক ডিজাইন এখন নতুন ফ্যাশনের অংশ।
রঙের দিক দিয়ে এখন প্যাস্টেল শেড, অফ হোয়াইট, অলিভ গ্রিন এবং ম্যাট ব্ল্যাকের কদর বাড়ছে। তবে কেউ কেউ উজ্জ্বল নীল, কমলা বা হলুদ রঙের পোশাক পরেও ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে তুলছে। এই রঙের বৈচিত্র্য তরুণদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশে একধাপ এগিয়ে রাখছে।
চুলের স্টাইলেও রয়েছে বৈচিত্র্য। ছেলেরা আন্ডারকাট, কার্লি ও ওয়েট হেয়ার লুক পছন্দ করছে। মেয়েরা চুলে হালকা হাইলাইট, বাংস কাটা ও লেয়ার কাটের মতো ট্রেন্ডি স্টাইল বেছে নিচ্ছে।
ফ্যাশন এখন শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং নিজের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশের একটি মাধ্যম। নতুন প্রজন্ম বিশ্বাস করে, পোশাকের মাধ্যমে তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, জীবনধারা ও আত্মবিশ্বাস ফুটিয়ে তুলতে পারে।
এই পরিবর্তনশীল ফ্যাশন ধারা আমাদের সমাজে ইতিবাচক সংস্কৃতি তৈরি করছে, যেখানে স্টাইলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সচেতনতা, সৃজনশীলতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ।