প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ১১:১৯
আজকাল তরুণ-তরুণীরা ফ্যাশনে অনেকটাই স্বাধীনতা অনুভব করছেন। একসময় যেসব পোশাক শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বয়সী মানুষদের জন্য ছিল, এখন সেগুলি নতুন প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গে, এখনকার তরুণরা তাদের নিজস্ব স্টাইল তৈরি করতে আগ্রহী। আধুনিকতা, আরামদায়ক পোশাক এবং সৃজনশীলতার সংমিশ্রণই হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের মূল প্রবণতা।
তরুণদের মধ্যে এখন ক্যাজুয়াল ও স্পোর্টস স্টাইল বেশ জনপ্রিয়। টিশার্ট, জিন্স, হুডি, স্নিকার্স এবং ক্যাপ—এগুলি প্রায় প্রতিটি যুবকের ও যুবতীর ড্রেস কোডে জায়গা করে নিয়েছে। তাছাড়া, এসব পোশাকের রঙ, ডিজাইন ও মডেলের বৈচিত্র্য তাদের ব্যক্তিগত শৈলী প্রকাশের এক বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শুধু ক্যাজুয়াল স্টাইলই নয়, এখন নতুন প্রজন্মের মধ্যে আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মিশ্রণও দেখা যাচ্ছে। সাদা শার্ট ও ব্লেজার, অথবা দেশি মেটালিক কুর্তি, এগুলো খুবই ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে।
ফ্যাশনেবল হওয়ার জন্য এখন আর কোনো নির্দিষ্ট শর্ত নেই। তরুণরা তাদের ব্যক্তিগত রুচি এবং পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো পোশাক বেছে নিতে পারে। শর্টস, স্কার্ট কিংবা লং ড্রেস, সব ধরনের পোশাকই এখন তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। শুধু পোশাকই নয়, এখনকার তরুণেরা তাদের নিজস্ব স্টাইল অনুযায়ী এক্সেসরিজ যেমন—ঘড়ি, সানগ্লাস, ব্যাগ, ও শো পিস ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্বকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলছে।
এছাড়া, ফ্যাশন সবার জন্য প্রাপ্য—এমন এক ধারণা এখন জনপ্রিয়। পলিটিক্যালি কারেক্ট হতে না চেয়ে, তরুণরা এখন তাদের নিজস্ব রুচি অনুসরণ করতে বেশি আগ্রহী। ট্যাটু, পিয়ার্সিং, চুলের নানা রকম ডিজাইনও তাদের স্টাইল স্টেটমেন্টের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব এক্সপ্রেশন তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তারা সাহসীভাবে নিজেদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে।
ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমানে ফ্যাশনেবল হওয়া মানে শুধু ফিজিক্যাল আউটফিট নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে স্টাইলিশভাবে উপস্থাপন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ফেসবুক—এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে তরুণরা তাদের পোশাক ও স্টাইল শেয়ার করে বিশ্বকে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে।
বর্তমানে, ‘ডায়নামিক স্টাইল’ একটি শব্দ হিসেবে জনপ্রিয়। মানে, ফ্যাশন শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়, এটি এক ধরনের চলমান প্রবণতা। একদিন আধুনিক, অন্যদিন ঐতিহ্য—এভাবে ফ্যাশন সবসময়ই পরিবর্তিত হচ্ছে এবং তরুণরা তার সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। তাদের এই প্রবণতা সমাজে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করেছে, যেখানে বৈচিত্র্য এবং উদ্ভাবনী শক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এভাবে বলা যায়, নতুন প্রজন্মের ফ্যাশন আজকাল নিছক পোশাকের ব্যাপার নয়, বরং এটি একটি জীবনধারা, আত্মপ্রকাশ এবং ব্যক্তিগত শৈলীর প্রকাশ।